18 C
New York
Friday, June 27, 2025

Buy now

spot_img

যাত্রী প্রতিক্ষালয় ও শৌচালয়ের দাবী স্থানীয় বাসিন্দাদের।

উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৯ ই জুন ২০২২ : বৃহস্পতিবার : কি শীত, কি গ্রীষ্ম, খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থেকেই বাস ধরতে হয় যাত্রীদের। ময়নাগুড়ি ব্লকের হুসলুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অবস্থায় বাস ধরতে হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন এই ভাবে চললেও যাত্রীদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে প্রশাসন এগিয়ে আসে নি। যার কারণে ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সহ যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের দাবি জানিয়েছেন ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সহ যাত্রীরা। পাশাপাশি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি শৌচালয় তৈরীর দাবীও করেছেন তারা। এই বিষয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মা বলেন, আবেদন থাকলে সেটা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ময়নাগুড়ি ব্লকের মধ্যে হুসলুডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড ময়নাগুড়ির একটি অন্যতম ব্যস্ততম বাস স্ট্যান্ড। এই বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী বাস ধরেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক দশক আগে সেখানে যাত্রীদের জন্য প্রতিক্ষালয় ছিল। এক ট্রাক দুর্ঘটনায় যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর সেখানে আর যাত্রী প্রতিক্ষালয় তৈরী করা হয় নি। যদিও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, তারা সেখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু জাতীয় সড়কের ফোরলেনের কাজ শুরু হয়ে যাওয়ায় তারা আর সেটি করা হয় নি। তবে এখন জাতীয় সড়কের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও সেখানে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরী না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ রোদ বা বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থেকে বাস ধরতে হয়। তখন রোদ বা বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে যাত্রীদের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে না। রোদ ও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বাস ধরতে হয় যাত্রীদের। বিশেষ করে বর্ষার সময় সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। এছাড়া বাসস্ট্যান্ডে যাত্রীদের জন্য কোনো শৌচাগার নেই। যার কারণে বিশেষ করে মেয়ে ও মহিলারা সমস্যায় পড়েন। অনেক সময় পার্শ্ববর্তী বাড়িতে মহিলাদের ছুটে যেতে হয় শৌচকর্মের জন্য। অমর রায় নামে এক যাত্রী বলেন, হুসলুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন শত শত যাত্রী বাস ধরেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে কোনো যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার নেই। ফোরলেনের কাজের পর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি কোনো দোকান-পাট নেই। তাই রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বাস ধরতে হয় যাত্রীদের। দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের শৌচকর্মের প্রয়োজন হলে তারা যে শৌচকর্ম করবেন তারও কোনো ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ রায় বলেন, আমাদের এখানে যাত্রীদের জন্য একটা বিশ্রামাগার ও শৌচালয়ের দাবী রয়েছে। যাত্রীদের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে সেটা অবিলম্বে তৈরী করা হোক আমরা এটাই চাই। এই বিষয়ে চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কাকলি বৈদ্য বলেন, আমাদের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতে কিছু কাজ করার জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেই কাজগুলি এখনও হয়নি। হুসলুডাঙ্গায় যাত্রী প্রতীক্ষালয় ও শৌচাগার নির্মাণের বিষয়টিও আমি তাদের জানাবো।

সম্পর্কিত খবর

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

22,878FansLike
3,912FollowersFollow
14,700SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

সাম্প্রতিক খবর

error: Content is protected !!