উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২০ শে জুন ২০২২ : সোমবার : বিগত কয়েক মাস ধরে মালবাজার মহকুমা জুরে অল্প বয়সি ছেলেরা শুক্নো নেশায় আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। সকাল-বিকাল কিম্বা সন্ধ্যা হলেই মহকুমার বিভিন্ন নির্জন জায়গায় কাফসিরাফ বা ট্যাবলেট নিয়ে নেশা করতে দেখা যায় অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েদের। এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার-বার সচেতন করেও কোন লাভ হচ্ছে না।
এই ভাবেই সোমবার সকালে মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি বাজার থেকে এক ব্যাক্তিকে আটক করে স্থানীয় যুবকেরা। ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে একবস্তা নেশার সিরাফ এবং এক ব্যাগ নেশার ট্যাবলেট উদ্ধার করে স্থানীয় যুবকেরা। এরপর স্থানীয়রাই মালবাজার পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে নেশার সামগ্রী সহ ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে। নেশার সামগ্রী সহ গ্রেপ্তার ওই ব্যাক্তির নাম এম. ডি. রহিম। বাড়ি মাল ব্লকের ডামডিম এলাকায়। এই ব্যক্তি বলেন, সে বেশ কিছুদিন ধরেই সে এই কারবার করছে। ওদলাবাড়ি বাবু সরকারে ঔষধের দোকান থেকে এইসব নেশার সিরাফ এবং ট্যাবলেট কিনেছে বলে ওই ব্যক্তি দাবী করে। এরপর এই সব ট্যাবলেট গ্রামে-গঞ্জে ছেলে-মেয়েদের বিক্রি করে। উল্লেখ্য এই নেশার সামগ্রী সেবন এবং বিক্রির অপরাধে কিছুদিন আগে জেলও খেটেছে এই ব্যক্তি। এরপর স্থানীয় মানুষ উত্তেজিত হয়ে যায়। তারা দাবী করে যে সব ঔষধের দোকান এই ভাবে নেশার সামগ্রী বিক্রি করে সেই সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হোক। এদিন বাবু সরকারের ঔষধের দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ বেশ কিছু দিন যাবত ওদলাবাড়ি সহ বিভিন্ন জায়গায় নেশার সামগ্রী রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছিলো। সোমবার দিন এক যুবক ওদলাবাড়ির এক ঔষধের দোকান থেকে এই কাফ সিরাফ এবং ট্যাবলেট নিয়ে ডামডিমের দিকে যাচ্ছিলো। সেই সময় স্থানীয় যুবকেরা ধরে ফেলে। এরপর ওই ব্যক্তি নেশার সামগ্রী ফেলে পালিয়ে যায়, এরপর স্থানীয় মানুষ এবং মালবাজার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আন্ধাঝোড়া বাঁধ এলাকা থেকে ধরে আনে। ওদলাবাড়ি ঔষধের দোকানের মালিক বাবু সরকারকে এদিন দোকানে পাওয়া যায় নি। এব্যাপারে উনার স্ত্রী অঞ্জনা সরকার বলেন, সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। আমার দোকানে এই সব নেশার সামগ্রী বিক্রি হয় না। ওই ব্যাক্তি কোন দোকান থেকে এই সিরাফ এবং ট্যাবলেট কিনেছে তা জানা নেই। মালবাজার থানার আই সি সুজিত লামা জানিয়েছেন, এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোন দোকান থেকে এই সব নেশার সামগ্রী কিনেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।