উত্তরবঙ্গ নিউজ : মালদা : ৭ ই জুলাই ২০২২ : বৃহস্পতিবার : সরকারী প্রকল্পের নামে তামাশা। তেমনটাই বলছেন পুরাতন মালদার যাত্রাডাঙা পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন। যে সে প্রকল্প নয়, তাঁদের অভিযোগ দুই সরকারের প্রকল্প নিয়েই। কেন্দ্র যেখানে চালু করেছিল স্বচ্ছ ভারত মিশন, রাজ্য সেই প্রকল্পই চালু করে নির্মল বাংলা অভিযান নামে। বছর তিনেক আগেই মালদাকে নির্মল ঘোষণা করা হয়। সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী তখন থেকে জেলার প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে পাকা শৌচাগার। কিন্তু ট্যাংক না করেই যে শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে, তার সামনে দাঁড় করিয়ে যে উপভোক্তাদের ছবি তোলা হয়েছে, সেটা কি প্রশাসন জানত? ফলত, এখনও মাঠেঘাটেই শৌচকর্ম করতে হচ্ছে একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরও যেতে হচ্ছে ফাঁকা জায়গায়। বিষয়টি জানেন যাত্রাডাঙা পঞ্চায়েতের প্রধান। স্বীকারও করেছেন তিনি। ঘটনার দায় চাপিয়েছেন প্রশাসনের কাঁধে। কিন্তু এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই পুরাতন মালদা ব্লক প্রশাসনের।
দেশকে নির্মল করতে ২০১৪ সালেই স্বচ্ছ ভারত মিশন প্রকল্প চালু করে কেন্দ্রীয় সরকার। এ রাজ্যে সেই প্রকল্প চালু হয় নির্মল বাংলা অভিযান নামে। এই প্রকল্পে প্রতিটি শৌচাগারের জন্য বরাদ্দ হয় ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে উপভোক্তাকে দিতে হয়েছে মাত্র ৯০০ টাকা। শৌচাগারহীন মানুষজনের মধ্যে এই প্রকল্প সাড়াও ফেলে। তাঁরা যে ভাবে হোক ৯০০ টাকা জোগাড় করে এই প্রকল্পে নিজেদের নাম লেখান। শৌচাগার তৈরির বরাত দেওয়া হয় বিভিন্ন স্যানিটারি মার্টকে। এই প্রকল্পে কোনও পঞ্চায়েতের উপর প্রশাসন ভরসা করেনি। নিজেরাই সরাসরি প্রকল্প দেখভাল করে। জানা যাচ্ছে, পুরাতন মালদা ব্লকের সমস্ত গ্রামের শৌচাগার নির্মাণের টাকা স্যানিটারি মার্টগুলিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শৌচাগার যে আদৌ পুরো নির্মাণ হয়নি, তা খতিয়ে দেখেনি প্রশাসন। এরই মধ্যে বছর তিনেক আগে জেলাকে নির্মল ঘোষণা করে দেওয়া হয়।