উত্তরবঙ্গ নিউজ : জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৩১ শে জুলাই ২০২২ : রবিবার : মহামান্য আদালতের নির্দেশিকা না মেনে এক শ্রেণীর অর্থলোভী স্কুল শিক্ষক অবৈধ প্রাইভেট টিউশনির সাথে যুক্ত, মাঝপথে প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করে দেওয়ায় রবিবার ধূপগুড়ির বিবেকানন্দ পল্লী এলাকার গৃহ শিক্ষক সঞ্জয় গোস্বামীর বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল বিক্ষোভ দেখাল প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ জনের মতো পড়ুয়া।
ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। পরবর্তীতে পুলিশ হস্তাক্ষেপে পড়ুয়ারা চলে যায়। তবে এই বিষয়ে গৃহশিক্ষকদের দাবি, বেশ কয়েকজন স্কুল শিক্ষকের মদতেই পড়ুয়ারা সঞ্জয় গোস্বামীর বাড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, একশ্রেনীর অর্থলোভী স্কুল শিক্ষক যদি মহামান্য আদালতের নির্দেশ না মানে, তা হলে শিক্ষককে সমাজের মেরুদন্ড বলা হয় কেমন করে। যারাই সমাজ গড়ার করিগর তারাই সমাজকে কেমন ভাবে আইন ভঙ্গ করার পাঠ শিখিয়ে যাচ্ছে। বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দাবী, আমরা স্কুল শিক্ষকের কাছে টিউশনি পড়তাম কিন্তু মাঝপথে টিউশনি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে আমরা সমস্যায় পড়ছি। এই বিষয়ে গৃহশিক্ষকদের দাবি, আজকে পড়ুয়াদের বিক্ষোভে এটা প্রমানিত হয় যে এক শ্রেণীর অসাধু স্কুল শিক্ষক অর্থলোভী হয়ে সরকারি নির্দেশিকাকে অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবৎ ধূপগুড়িতে টিউশনি করিয়ে আসছিল। প্রশ্ন উঠছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকাকে অমান্য করে এতদিন ধরে কেন স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি করার সাহস কোথা থেকে পায়।
অন্যদিকে বিক্ষোভ দেখানো পড়ুয়াদের অভিযোগ, গৃহশিক্ষকদের আন্দোলনে চাপে পড়ে স্কুল শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করে দিয়েছে। এক্ষেত্রে গৃহশিক্ষকদের দাবি, আমরা কাউকে টিউশনি বন্ধ করার কথা বলিনি। সুপ্রিম কোর্ট এবং সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে যে কোনো স্কুল শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা করতে পারবে না। এদিন সঞ্জয় গোস্বামী বলেন, স্কুল শিক্ষকরা যে প্রাইভেট টিউশনি পড়ায় তা পড়ুয়াদের মিছিল এবং বাড়ির সামনে বিক্ষোভে প্রমান হয়ে গেল। বেকার যুবকরা, মাহামান্য আদালতে নির্দেশিকা না মানায় টিউশনিরত স্কুল শিক্ষকদের শাস্তির দাবি জানান।