জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ৯ই এপ্রিল ২০২০, বৃহস্পতিবার : করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছেন গোটা বিশ্ববাসী। এর মাঝেই মৃত্যু হলো ময়নাগুড়ি আনন্দ নগর এলাকার সাহা পাড়ার বাসিন্দার। জানা যায় তার নাম মিনতি সাহা(৫২)। আর তার মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসার খবর শুনতেই রাস্তা আটকে দেন স্থানীয়রা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহা পাড়ার ওই মহিলা তার সন্তান সুব্রত সাহা দুজনে পরিবারে থাকতেন। তিনি ময়নাগুড়ি পুরাতন বাজারের সব্জি হাটিতে খাজনা তুলে সংসার চালাতেন। বেশ কিছুদিন আগে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্গালোর নিয়ে যাওয়া হয়।
আর এর মাঝেই ভারতে থাবা বসায় করোনা ভাইরাস। যার ফলে লকডাউন ঘোষণা করেন সরকার। লকডাউনের আগে গত ২২ মার্চ ব্যাঙ্গালোর থেকে বাড়ি ফেরেন মিনতি সাহা এবং তার ছেলে সুব্রত সাহা। যেহেতু ভিন রাজ্য থেকে এসেছেন তাই প্রতিবেশীদের অনুরোধে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন । সে সময় তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দিতেন প্রতিবেশীরা। গত বুধবার বাড়িতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে। আর সেখানেই তার মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার তাকে পোস্ট মর্টেমের জন্য নিয়ে আসা হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। এই খবর চাউর হতেই এলাকাবাসীরা মৃত দেহ বাড়ি না নিয়ে আসার জন্য বাড়ি ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেন। স্থানীয়রা বলেন, যেহেতু তিনি অন্য রাজ্য থেকে বেশ কিছু দিন আগে এসেছেন এবং তার মৃত্যু হয়েছে। তাই এলাকাবাসীদের অনুরোধ মৃতদেহ শিলিগুড়িতে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে তার সৎকার করা হোক। এই পরিস্থিতিতে খবর পেয়ে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ সাহা পাড়ায় যান। সমস্ত বিষয়টি শুনে বিষয়টিকে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। মৃত মিনতি সাহার বাড়ি লাগোয়া এক প্রতিবেশী বাপী সরকার বলেন, ” যে কোনো মৃত্যুই অত্যন্ত বেদনা দায়ক। তাদেরও ইচ্ছা মৃত দেহ দাহ করার আগে বাড়ি নিয়ে আসবে। কিন্তূ বর্তমানে করোনা নিয়ে যে পরিস্থিতি। তাতে এলাকার সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বাইরে বৈদ্যুতিক চুল্লিতে নিয়ে গেলে ভালো হয়। আমরা পরিবারের পাশে আছি। সমস্ত রকম সহযোগিতা করবো। শেষ কার্য করতে যতটা সহযোগিতা করা যায় আমরা সমস্ত এলাকাবাসী তাদের পরিবারের পাশে থাকবো।” এই বিষয়ে মৃত ওই মহিলার ছেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।