কোচবিহার : ১০ই এপ্রিল ২০২০, শুক্রবার : বিধ্বংসী কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলো জেলার বিভিন্ন প্রান্ত। লন্ডভন্ড কোচবিহারের ২ নম্বর ব্লকের খোল্টা মরিচ বাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকা। এই ঝড়ে ইলেকট্রিক খুঁটি গায়ে পড়ে অখিল সূত্রধর নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় বেশকিছু মানুষ আহত হয়েছে। তাদের বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি এক টানা ঝড় হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় এক হাজার বাড়ি ভেঙেছে। বহু বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে, উপড়ে গেছে বহু গাছ, গাছ ভেঙে চাপা পড়ে আহত বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। ঝড় যে কি বীভৎস তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে এখান কার ছবি দেখলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাস্তায় পড়ে রয়েছে একের পর এক গাছ। বাড়ির টিনের চাল যেমন উড়িয়ে নিয়ে গেছে তেমনি ঝড়ের দাপটে বাড়ির পিলার ও উপড়ে নিয়েছে। লকডাউন পরিস্থিতিতে এই এলাকার বেশীর ভাগ মানুষ কর্মহীন এবার এই কালবৈশাখী ঝড়ে এই এলাকার মানুষ এখন বাড়ি ছাড়া। ফলে কপালে হাত পড়েছে এই এলাকার মানুষের। বর্তমানে ঘর হারা মানুষদের মরিচ বাড়ি হাই স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়ের তান্ডবে খতিগ্রস্ত হলো তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের ধলপলা ১ ও ২ নম্বর অন্দরান ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এই বিধ্বংসী কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় ২০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ে ঘরের চাল উড়ে যায় অন্যত্র। ইলেকট্রিক পোল উপরে পড়ে। বিধ্বংসী কালবৈশাখীর ঝড়ের পাশাপাশি শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েকশো বিঘার ফসল। বিশেষ করে ভুট্টা চাষের ক্ষতি হয়। ঝড়ের দাপটে কয়েকশো গাছ ভেঙ্গে পরে। গাছ ও বিদ্যুৎ এর খুটি পরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। সমস্ত এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কালীপদ সূত্র ধর, শ্যামলী দাস জানান, “বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় চল্লিশ মিনিটের ঝড়ে আমাদের গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝড়ে আমাদের এলাকায় বেশ কিছু বাড়ির চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘরের উপর গাছ পরে বাড়ি খতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলা বৃষ্টির জেরে পাঠ, ভুট্টা, ধান, লঙ্কার ক্ষতি হয়েছে। এই মুহূর্তে সরকারি সহযোগিতা না পেলে সমস্যায় পরবেন গ্রামবাসীরা।” লকডাউন এর ফলে গৃহবন্দী সাধারণ মানুষ। দিন আনি দিনখাওয়া মানুষ কর্মহীন। তার উপর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফলে মাথায় হাত গ্রামবাসীদের।