মালদা : ১৩ই এপ্রিল ২০২০, সোমবার : মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রকে আরও আধুনিক করতে উদ্যোগী হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে আধুনিক মেশিন বসানোর কাজ। তাই স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রবিবার থেকে কিছুদিনের জন্য বন্ধ করা হবে করোনা পরীক্ষা। যতদিন না নতুন মেশিন বসানো হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত করোনা পরীক্ষার কাজ বন্ধ থাকছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে মালদা মেডিকেলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫ জন। তাঁদের লালারস টেস্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিকিৎসকরা। কিন্তু এদিন করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করায় ওই চার রোগীর লালারস কলকাতায় পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। মালদা মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, সোমবার করোনা সন্দেহজনক ওই রোগীদের লালারসের নমুনা কলকাতায় পাঠানো হবে। সেখান থেকে তাদের রিপোর্ট মালদায় নিয়ে আসা হবে।
গত বৃহস্পতিবার মালদা মেডিকেল কলেজ করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। সেদিন থেকে করোনা সন্দেহজনকদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মালদা মেডিকেলে ৭ জন করোনা সন্দেহজনক রোগীর লালারস পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রত্যেকের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রকে আরও আধুনিক করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আরও বেশি নির্ভুলভাবে লালারস পরীক্ষা করতে বসানো হবে ওয়াক ইন কুলার মেশিন। এই বিশেষ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে লালারসের পরীক্ষা করা হবে। এতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় লালারসের পরীক্ষা করা হয়। যন্ত্রটি উন্নতমানের, তাই নতুন এই মেশিনটি বসানোর সময় লালারস পরীক্ষার কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। মেশিনে ধুলিকণা বা কিছু ঢুকে পড়লে সমস্যা হতে পারে। তাই পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে সাধারণ মানুষের যাতায়াত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সোমবার কলকাতা থেকে মেশিন ও ইঞ্জিনিয়াররা চলে আসবেন মালদায়। মেশিনটি বসাতে সময় লাগবে প্রায় ১০ দিন। তাই আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি অমিতকুমার দাঁ বলেন, করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রটি কিছুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে আরও উন্নত প্রযুক্তির মেশিন বসানো হবে। কিছুদিন করোনা সন্দেহজনকদের লালারসের নমুনা কলকাতায় পাঠানো হবে।
