আলিপুরদুয়ার : ১৮ই এপ্রিল ২০২০, শনিবার : যেখানে করোনা মহামারীতে সারা দেশ তথা রাজ্য মহা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ত্রান নিয়ে রাজনীতি যেন পিছু ছাড়ছে না আলিপুরদুয়ারকে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উতপ্ত আলিপুরদুয়ারের রাজনৈতিক মহল। গত ১২ এপ্রিল আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা এই সংকটের সময়ে অনেকদিন ধরে বন্ধ থাকা বান্দাপানি চা বাগানের অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ত্রান নিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু প্রশাসন তাকে বাঁধা দেয়। ত্রান না দিয়েই সেদিন ফিরেতে হয়েছিল সাংসদ কে ।
পরদিন বাগান থেকে সেই সব অসহায় শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে দু তিন জন সেই ত্রান সাংসদের বাড়ি থেকে নিতে যায়। নিয়ে যাবার সময় সেই ত্রান বোঝাই গাড়ি পুলিশ আটকে বীরপাড়া থানায় নিয়ে যায়। অথচ রাজ্যের শাসক দলের নেতা বিধায়করা অবাধে যেখানে খুশি যাচ্ছেন কোথাও কোথাও লক ডাউন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ত্রাণ দেবার নামে জমায়েত করছেন। এমনই ছবি দেখাগেলো আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম বিধানসাভার বারোবিষাতে। ত্রান গ্রহীতারা নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেও আয়োজক তথা তৃণমূল নেতারা কিন্তু সেটা অনেকাংশে মানেননি। এদিকে কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়কের ওপর দল হয়তো আস্থা রাখতে পারছে না। তা না হলে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে কেনই বা নিজের এলাকা ছেড়ে দলনেত্রীর নির্দেশে আসতে হলো কুমারগ্রাম বিধানসভা এলাকায় ত্রান দিতে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সেই ত্রাণ বিলি কর্মসূচিতে দেখা যায়নি স্থানীয় বিধায়ক জেমস কুজুর কে। সন্দেহ গাঢ় হয় তখনই। যদিও তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে উনি জানান যে উনি অসুস্থ। তবুও উনি বলেন এই সময় মানুষের পশে দাঁড়ানো তো ভালো কথা। আমি আসতে পারছি না আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সেই শুন্যস্থান পুরন করে দিচ্ছেন। তবে একদিন না দিয়ে, শুধু একজায়গায় না দিয়ে সব জায়গায় দিলে, অন্যান্য বিধানসভা এলাকাগুলোতে দিলে আরো ভালো হয়।