কোচবিহার : ১৮ই এপ্রিল ২০২০, শনিবার : কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো খাদ্যশস্য এফ.সি.আই. গুদামে পড়ে থাকলেও রাজ্য সরকার নিচ্ছে না, এই অভিযোগ তুলল জেলা বিজেপি। শনিবার কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতী রাভা রায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল এফ.সি.আই এর আধিকারিক ভারতীয় খাদ্য নিগম এর জেলা ডিভিশনাল ম্যানেজার ও পি শর্মা সাথে দেখা করেন। কোচবিহার জেলাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বরাদ্দ সমস্ত চাল গম এসে পৌঁছেছে। জেলার ৩টি এফসিআই গুদামে চাল-গম পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। সে খাদ্যশস্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন জেলা বিজেপি। জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতী রাভা রায় জানান, “প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার জন্য প্রচুর বরাদ্দ করেছেন কিন্তু আমরা বাংলায় দেখতে পাচ্ছি সেই বরাদ্দ শস্য এফ.সি.আই গুদাম ভর্তি হয়ে পড়ে আছে। এই বাংলায় যারা শাসন করছে বর্তমান শাসক দল এই শস্য তুলছে না। মানুষ খেতে পারছে না, খিদের জালায় মানুষ কান্না করছে রাজ্য সরকার খাদ্যশস্য তুলছে না। শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা বলছে কেন্দ্র যে ঘোষণা করছে সেগুলো এখনো এসে পৌঁছায়নি। গুদামে জায়গা নাই। খাদ্য শস্য এলে গুদামে পরে থাকলেও মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছাচ্ছে না।”
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা। ওরা সব সময় মিথ্যা প্রচার করে , মিথ্যা কথা বলে। খাদ্য সামগ্রী বিতরণের বিষয়টি জেলাশাসক দেখছেন।”
ভারতীয় খাদ্য নিগম এর জেলা ডিভিশনাল ম্যানেজার ও পি শর্মা জানান, “আমাদের কোচবিহারে ৩ টি গুদামে ১৭ হাজার মেট্রিক টন শস্য রাখার জায়গা রয়েছে। সেই সব গুদামে চাল এবং গম পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আরও চাল আসছে। চাল নেওয়ার জন্য জেলার খাদ্য আধিকারিকে অনুরোধ করা হয়েছে। ওনারা অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করছেন। অর্ডার পেয়ে গেলেই এই খাদ্যশস্য ওনারা তুলে নেবেন।”