জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৬ই মে ২০২০, বুধবার : পুলিশ যে শুধু আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রন করে এটা যারা ভাবছেন, তারা ভুল করছেন। আইন শৃঙ্খলার পাশাপাশি সাধারন মানুষের সেবা করে চম্কেছে মালবাজার পুলিশ। লক ডাউনের পর থেকে গরীব মানুষদের দিন রাত রান্না করে খাওয়াচ্ছে মালবাজার পুলিশ, সেটা আমরা আগেই দেখেছি। তবে এবার অন্য ছবি দেখা গেল মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি এলাকায়।এদিন আর এক মানবিকতার পরিচয় দিলো মালবাজার পুলিশ। এদিন এক প্রৌড়াকে তার বাড়িতে পৌচ্ছে দিলো মালবাজার পুলিশ। জানা গেছে এদিন ওদলাবাড়ি চাবাগান এলাকার এক প্রৌড়া আর্থিক অনটনের জন্য ওদলাবাড়ি ব্যাঙ্ক এসেছিল টাকা তুলতে। টাকা তুলে প্রচন্ড রোদের মধ্যে রাস্তা দিয়ে পায়ে হেটে বাড়ি ফিরছিল। সেই দৃশ্য দেখে টহলরত মালবাজার পুলিশের ভ্যান দাঁড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ভ্যান থেকে নেমে পড়েন পুলিশ কর্মী এবং আধিকারিকেরা। মালবাজার পুলিশের এক আধিকারিক রাজা সাহা ওই প্রৌড়ার খোজ খবর নেন। কেন এত রোদের মধ্যে ব্যাঙ্কে এসেছেন।
সব কিছু জেনে পুলিশের গাড়িতে করেই ওই প্রৌড়াকে বাড়িতে পৌছে দেন পুলিশ আধিকারিক রাজা সাহা। ওই প্রৌড়া বুধবার দিন বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে এসেছিলেন। টাকা তুলে প্রচন্ড রোদে ছাতা মাথায় দিয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে বাড়ি ফিরছেল। এই দৃশ্য দেখে কষ্ট হয় পুলিশ কর্মীদের। এরপর পুলিশ আধিকারিক রাজা সাহার নেতৃত্বে মহিলা পুলিশ দিয়ে প্রৌড়াকে পুলিশের গাড়িতে তুলে মহিলার বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়। পুলিশদের বক্তব্য এক দিকে করোনা আতঙ্ক অন্য দিকে প্রচন্ড রোদ। যে কোন মহুর্তে ওই প্রৌড়া অসুস্থ্য হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তাই মানবিকতা খাতিরে উনার বাড়িতে পৌচ্ছে দেওয়া হয়। পুলিশ আধিকারী রাজা সাহা ওই প্রৌড়ার বাড়ি গিয়ে বাড়ির লোকজনকে বোঝান এই ভাবে বয়স্কা মহিলাকে বাড়ির বাইরে ছাড়বেন না। এব্যাপারে প্রৌড়ার বৌমা সিতা প্রধান জানিয়েছেন, বাড়িতে না বলেই ব্যাঙ্কে চলে গিয়ে ছিলেন তার শাশুড়ী । তবে পুলিশ যে ভাবে বাড়িতে পৌছে দিয়েছে তার জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রৌড়ার বাড়ির লোকজন। এলাকার মানুষ বিষ্ণু বৈদ্য, তাপস দাস বলেন, পুলিশের এই মানবিকতায় ভিষণ খুশি আমরা। জানা গেছে লক ডাউন ঠিকঠাক পালন হচ্ছে কিনা তা দেখতে প্রতিদিনের মত বুধবারও মালবাজারের পুলিশ ভ্যানে কয়েকজন পুলিশ কর্মীদের নিয়ে প্যাট্রোলিং বের হয় পুলিশ অফিসার রাজা সাহা। এদিন বেশ কিছু টোটো রিস্কা ধরে তাদের ওয়ার্নিং দেন তিনি। অযথা যারা বাজারে ঘোরাঘুরি করছে তাদের ধমকিয়ে বাড়ি পাঠান তিনি।