জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ৭ই মে ২০২০, বৃহস্পতিবার : মাটিগাড়া থেকে পাঁয়ে হেটে আসামের কোকড়াঝার যাওয়ার পথে ক্লান্ত হয়ে পরলে মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোট মীনা মোড়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন ২২ জন পরিযায়ী শ্রমিক।এই খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান চন্দা কোম্পানির সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী রাজেশ ছেত্রী। তিনি এদের রাস্তায় খাবারের জন্য নগদ টাকা দেন। যাতে রাস্তাঘাটে খাবারের কোন অসুবিধা না হয়। অন্য দিকে বাগ্রাকোট প্রটেকশন কমিটির তরফ থেকে চিড়া গুড় ও মিনারেল ওয়াটারের বোতল দেওয়া হয় এই পরিযায়ী শ্রমিকদের।যারা,যাচ্ছিলেন তারা রাজেশ ছেত্রীকে ধন্যবাদ জানান,বলেন এইসব মানুষের জন্য মানুষ বেঁচে আছে। পায়ে হেটে যাওয়া লোকদের বক্তব্য যে ভাবে লকডাউন বাড়ছে আর তাদের কাজকর্ম চলছে না। এর ফলে কঠিন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
রাজ্য সরকার কিছু সাহায্য করেছে। আমাদের একটাই দাবী আমাদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থা করুক এই সরকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা তারা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। রাজেশ,ছেত্রী জানান, আগে জানলে এদের জন্য রান্না করা খাবার দেওয়া যেত। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ মেডিকাল চেক আপ করে এদের ঘরে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। এদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা রোদ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাটতে হাটতে বহু শ্রমিকের পা ফুলে গেছে। ক্লান্ত হয়ে পরেছে। এদিন এরা ছারাও আরো দুটি দল পায়ে হেটেই আসামের পথে রওনা দিয়েছে শিলিগুড়ি সহ অন্যান্য জায়গা থেকে। প্রতি দলে ২৫-৩০ জন করে রয়েছে। মালবাজার পুলিশ প্রশাসন পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এরা পায়ে হেটে আসাম যাবে। আমরা আসাম বর্ডার পর্যন্ত সব রকম সহযোগিতা করবো এই শ্রমিকদের। খাওয়া দাওয়া বা থাকার। বিকেল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় আটকে পরেছে এই শ্রমিকেরা।