জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৬শে জুন ২০২০ শুক্রবার : কোয়ারান্টাইন এ অব্যবস্থা, অপরিস্কার, অপরিচ্ছন্ন এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলে, মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি গ্রামীন হাসপাতালে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখালো কোয়ারান্টাইন এ থাকা মানুষজনেরা। আর এতেই হাসপাতাল চত্তরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে আসে মালবাজার পুলিশ। মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি কোয়ারান্টাইন সেন্টার এলাকার ঘটনা। বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভ দেখায় ওদলাবাড়ি কোয়ারান্টাইন এ থাকা মহিলা এবং পুরুষেরা। কোয়ারান্টাইন এ থাকা যুবকদের বক্তব্য, বেশ কয়েকদিন ধরে এই কোয়ারান্টাইন এ রয়েছে। অথচ গত বুধবার দিল্লী থেকে এক পরিবার এই কোয়ারান্টাইন থাকার বৃহস্পতিবার রাতে সেই পরিবারকে কোয়ারান্টাইন থেকে ছুটি করে দিচ্ছিলো হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ওই পরিবার ব্যাগ নিয়ে মালবাজারে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনাও দিয়েছিলো। আর এতেই কোয়ারান্টাইন এ থাকা অন্য যুবক এবং মহিলারা হাসপাতালে এসে প্রতিবাদ করে। সবার একই বক্তব্য দিল্লী থেকে আসা পরিবারকে যদি এক দিনেই কোয়ারান্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোয়ারান্টাইন এ থাকা বাকিদেরও ছেড়ে দিতে হবে।
এছাড়া কোয়ারান্টাইন এর অবস্থা খুব খারাপ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নেই ঠিকঠাক পানিয় জলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর টয়লেট, বাথরুম। খাওয়া দাওয়াও ভাল না। পর্যাপ্ত নেই বিছানা। কোয়ারান্টাইন সেন্টার জুরে মশার উপদ্রব। এখানে ভাল লোকও অসুস্থ্য হয়ে যাবে বলে তাদের অভিযোগ। এ ব্যপারে দিল্লী থেকে আসা ওই পরিবারের অভিযোগ, তাকে হাসপাতাল থেকে বৃহস্পতিবার হোম কোয়ারান্টাইন এ যাবার নির্দেশ দিয়েছে। তাই তারা এদিন কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তবে অন্য যুবকদের দাবি, দিল্লী থেকে আসা এই পরিবারকে কি ভাবে এক দিনে হোম কোয়ারান্টাইন এ থাকার নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ? তাই কোয়ারান্টাইনে থাকা অন্য লোকজনদের বক্তব্য এই পরিবারকে কোয়ারান্টাইন এ ফেরত না রাখলে এবং কোয়ারান্টাইন সেন্টারে স্বাস্থ্যকর পরিবশ তৈরি না করলে তারা হাসপাতাল চত্তর থেকে সরবেন না। যত রাত বাড়ছিলো পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছিলো। এরপর হাসপাতাল কতৃপক্ষ কোয়ারান্টাইন মানুষদের সব কথা মেনে নেয়। শুক্রবার থেকে কোয়ারান্টাইন এর ব্যবস্থা ঠিকঠাক করা হবে এবং দিল্লী ফেরত ওই পরিবারকে আবার কোয়ারান্টাইন এ রাখা হবে বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত চিকিৎসক সবাইকে জানায় এরপর পরিস্থিতি শান্ত হয়।