জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৪ই জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার : সকাল থেকে মালবাজার মহকুমা জুড়ে বিজেপি সমর্থকেরা ঝান্ডা নিয়ে রাস্তায় নামেন। তবে বিজেপির অভিযোগ পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ তাদের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে। রাস্তা থেকে বিজেপি সমর্থকদের সরিয়ে দিয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝান্ডাও। বিজেপির অভিযোগ পুলিশ তাদের বন্ধ করতে বাধা দেয়। রাস্তায় তাদের ঝান্ডা লাগাতে বাধা দেয়। তবে এর মধ্যেই ওদলাবাড়ি বাজারে বিজেপি কর্মিরা বন্ধের সমর্থনে পথ সভা করার সময় পুলিশের সাথে বিজেপি কর্মিদের বচসা হয় বলে বিজেপির অভিযোগ। শান্তি পুর্ন ভাবে তারা রাস্তার পাশে পথ সভা করছিল কিন্তু পুলিশ প্রশাসন জোড় করে, টেনে হিচড়ে তাদের কর্মিদের পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়। বিজেপির অভিযোগ গনতন্ত্র দেশে প্রতিবাদের রাস্তা আছে কিন্তু পুলিশ আজ যে ভাবে আমাদের কর্মিদের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরলো এবং জোড় করে কর্মিদের গ্রেপ্তার করলো তা এ রাজ্যে বিরল ঘটনা।
বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ জোড় করে তাদের পথ সভা করতে বাধা দেয়। তাদের কর্মি সমর্থকদের জোর করে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেয়। রাস্তায় লাগানো ঝান্ডাও খুলে দেয়। তবে এখম পর্যন্ত দোকানপাঠ কিছু খোলা থাকলেও কিছু দোকান বন্ধও রয়েছে। রাস্তায় সরকারি বাস চলছে, নেই বেসরকারি বাস। রাস্তায় তেমন নেই লোকজন। বিজেপি সুত্রে জানা গেছে মালবাজার মহকুমায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন বিজেপি কর্মি সমর্থক গ্রেপ্তার হয়েছে। এব্যাপারে মালবাজার পুলিশের এস ডি পি ও দেবাশিষ চক্রবর্তী বলেন, কোন ভাবে রাস্তা বন্ধ করা যাবে না। এতে মানুষের অসুবিধা হবে। কয়েক জন বিজেপি কর্মিদের গেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপির বন্ধের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামলো তৃনমুল কংগ্রেস। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা নাগাদ ওদলাবাড়ি শহরে মিছিল করে তৃনমুল কংগ্রেস। সাধারন মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের দোকান খোলার অনুরোধ করা হয়। এরপর ওদলাবাড়ি বাজারে বিজেপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায় তৃনমুল সমর্থকেরা। তৃনমুল এর ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, ৭ বছর ধরে এই এলাকায় কোন বন্ধ হয় নি। অথচ আজ বিজেপি সাধারন মানুষকে হয়রানি করে বন্ধ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা এই বন্ধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। সেই কারনে কোন বন্ধ হয় নি, সব স্বাভাবিক ছিলো। গাড়িও চলেছে ঠিকঠাক ভাবে। তমাল বাবু আরও বলেন, উত্তর দিনাজপুর যে বিজেপির বিধায়ক এর মৃত্যু হয়েছে, তা পুলিশ তদন্ত করছে। সেখানে এই ভাবে বন্ধ করার কোন মানেই হয় না। তাই আমরা রাস্তায় নেমে বিজেপির এই বন্ধের বিরোধীতা করছি। অন্য এদিন বাগ্রাকোট এলাকায় ৩১নাম্বার জাতীয় সড়কে ওপর বিজেপি সমর্থকেরা ঝান্ডা নিয়ে বসে পরে। খবর পেয়ে মালবাজার পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপি কর্মিদের। মালাজার ব্লকের পুরাতন চেংমাড়ি এলাকায় বিজেপি সমর্থকেরা বন্ধের উদ্দেশ্যে এলাকায় আসেন। সকাল থেকে বন্ধের কারনে কোন দোকান পাঠ খুলতে দেখা যায় নি। এরপর রাস্তায় নামে এলাকার তৃনমুল কর্মিরা। পালটা বন্ধ বিরোধিতায় তারাও রাস্তায় নামেন এবং সব দোকান পাঠ খোলার অনুরোধ করেন ব্যবসায়ীদের কাছে। এরপর বন্ধের বিরোধিতায় এলাকায় মিছিল করে তৃনমুল কর্মি এবং নেতারা। তৃনমুল এর দাবি এলাকায় কোন বন্ধ হয় নি। তবে বিজেপির দাবি শান্তিপূর্ণ বন্ধ হয়েছে এই এলাকায়।