জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২০শে আগষ্ট ২০২০ বৃহস্পতিবার : লক ডাউনের মাঝেই মাথার ওপর বিপদ নেমে এলো এলাকার মানুষের। কি করবেন তা বুঝেই উঠতে পারছেন না ওদলাবাড়ি এলাকার মানুষেরা। কারন বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওদলাবাড়ি বাজার থাকে ওদলাবাড়ি চাবাগান পর্যন্ত রাজ্য সড়ক মাপামাপি সুরু করলো পুর্ত দপ্তরের কর্মিরা। এদিন রাজ্য সড়কের এক এক পাশ ১২ মিটার করে মার্কিং করে দেয় পুর্ত দপ্তরের কর্মিরা। আর এতেই সমস্যায় এলাকার ব্যাবসায়ী থেকে সাধারন মানুষ। কারন রাস্তার এক পাশেই যদি ১২ মিটার করে জায়গা নেওয়া হয়, তাহলে বাজার এলাকায় প্রচুর দোকান এবং বাড়ি ভাঙ্গা পরবে। সে খেত্রে করোনা এবং লক ডাউনের মুখে বড় ক্ষতির মুখে পরবে এলাকার মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা। এলাকার ব্যবসায়ী রাজ কুমার চক্রবর্তী, মানোষ মুখার্জি, ময়না ঘোষরা বলেন, এই রাজ্য সড়ক চওড়া হবে দেখে এক মাস আগে পুর্ত দপ্তরের লোক জন ১১ মিটার সীমানা লাল কালি দিয়ে মারকিং করে যায়।
সেই সময় আমরা ঘর, দোকান ভেঙ্গে সরিয়ে নেই। কিন্তু বুধবার আবার মাপঝোঁক শুরু করে পুর্ত দপ্তরের লোকজন। এখন দেখা যাচ্ছে ১১ মিটারের বদলে ১২ মিটার জায়গা নিয়ে লাল কালির দাগ মেরে দিয়েছে এবং খুটি গেরে দিয়েছে। এত জায়গা নিলে ওদলাবাড়ি বাজারে কোন দোকানই থাকবে না। সে খেত্রে ব্যবসায়ীরা না খেয়ে মরতে হবে। একই অবস্থা বহু বাড়ির। রাস্তার দুদিকে ১২ মিটার করে জায়গা নিলে বহু বাড়ি ভাঙ্গা পরবে। সেখেত্রে গৃহহীন হবে বহু মানুষ। লক ডাউনের বাজারে মানুষের হাতে এমনেই অর্থ নেই তার ওপর এই ভাবে বাড়ি ঘর ভাঙ্গা পরলে দিসা হারা হবে সাধারণ মানুষ। এব্যাপারে প্রশাসন এর পক্ষ থেকে কেউ কিছু বলতে চায় নি। তবে এব্যাপারে মাল ব্লকের তৃনমুল এর ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, বারে বারে মাপঝোঁক হচ্ছে রাস্তার। এত জায়গা নিয়ে কি করবে, বুঝতেই পারছিনা। এব্যাপারে মালবাজার মহকুমা শাসক শান্তনু বালার সাথে কথা বলবো। যাতে এই ব্যবসায়ীদের বাচানো যায়। ১১ মিটারের কম নিলে বহু মানুষের উপকার হবে। সে ব্যাপার গুলো মহকুমাশাসক কে জানাবো বলে জানান তমাল ঘোষ।