জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ২৯শে সেপ্টেম্বর ২০২০ : মঙ্গলবার : করোনা উত্তরকালে গ্রামীণ বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে পর্যটন শিল্পকে চলতে হবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এমটাই বার্তা দিলেন উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা। মঙ্গলবার মাল পৌরসভার সভাকক্ষে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমের পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত বিভিন্ন মানুষ ও বিশেষজ্ঞরা করোনা উত্তরকালে পর্যটন ব্যবসা কিভাবে চলবে তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করেন।
উপস্থিত ছিলেন ভারত সরকারের পর্যটন দপ্তরের অধিকারিক স্বায়ক নন্দী, পর্যটন বিশেষজ্ঞ রাজ বসু, সম্রাট সান্যাল, মাল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোওর্ডিনেটর সমর কুমার দাস, সিকিমের পর্যটন ব্যবসায়ী রবীন বাসনেত, ডুয়ার্সের ও পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়ী রাজেন প্রধান সহ ডুয়ার্স পাহাড়ের পর্যটন ব্যবসায়ীরা। করোনা আবহে লকডাউনে বন্ধ হয়ে যায় ডুয়ার্স ও পাহাড়ের সমস্ত লজ ও রিসোর্ট। বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন ব্যবসা। এই ব্যবসার সাথে জড়িত বহু মানুষ কাজ হারান। সেপ্টেম্বর মাসে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে ডুয়ার্সের লজ ও রিসোর্ট গুলি। পাহাড়ের সব রিসোর্ট এখনো খোলেনি। এমত অবস্থায় পর্যটন ব্যবসা কিভাবে চলবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সভার শুরুতেই স্বাগত ভাষন দেন মালবাজার টুরিজম ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট তপন দাস। এরপর কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন আধিকারিক স্বায়ক নন্দী বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে উপযুক্ত স্যানেটাইজড করে ব্যবস্থা নিলে পর্যটকরা আসবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এভাবে চলতে হবে। আস্তে আস্তে পরিবেশের উন্নতি হবে। সম্রাট সান্যাল বলেন, সামাজিক দুরত্ব কথাটা ঠিক নয়, শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে গ্রামীণ বিকাশের কথা ভেবে পর্যটন ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। রাজ বসু তার ভাষনে বলেন, পর্যটকরা এলো খাওয়া দাওয়া করলো ঘুরলো চলে গেল। এভাবে পর্যটনের বিকাশ সম্ভব নয়। বর্তমান সময়ে আমাদের লক্ষ্য পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ বিকাশ। পর্যটনের সাথে সাথে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ হবে এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের চলতে হবে । বেলা ১২ টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলে এই সভা। সভায় সামাজিক দুরত্ব বজায় ছিল।