উত্তর দিনাজপুর : কালিয়াগঞ্জ : ১৬ই অক্টোবর ২০২০ : শুক্রবার : মিডডে-মিলের সামগ্রী চুরির অভিযোগে স্কুলের প্রধান শিক্ষকাকে স্কুল ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালো বেশ কিছু গ্রামবাসী সহ অবিভাবকরা। শুক্রবার বিকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইটাহার থানার ইটাহার উত্তরপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন আগে স্কুলের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অবিভাবকদের হাতে সরকারি নির্দেশ মত স্কুল বন্ধের মধ্যেও মিডডে-মিলের চাল, আলু, ছোলা বিতরণ করা হয়। তারপর আবার স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আজকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা যুথিকা রানী সরকার স্কুলে এসে মিডডে-মিলের চাল, আলু, ছোলা সহ অন্যান্য সামগ্রী তার স্বামীর হাতে দিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যায়। সেই সময় এলাকার কিছু মহিলারা বিষয়টি লক্ষ্য করে শিক্ষিকার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নি। এরপর এলাকার বাসিন্দা সহ বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রীর অবিভাবক ও অবিভাবিকারা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে স্কুল ঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। পরে শিক্ষিকার স্বামী চুরি করে নিয়ে যাওয়া জিনিসের কিছু ফেরত নিয়ে এলে বিক্ষোভ কারীদের রোসের মধ্যে পরে।
এই প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আগেও এই ভাবে মিডডে-মিলের সামগ্রী চুরির অভিযোগ ছিল। বিক্ষোভকারীরা জানান, কিছুদিন আগে আমাদের এই উত্তরপাড়া প্রাথমিক স্কুলের পক্ষ থেকে মিডডে-মিলের জিনিস ছাত্র-ছাত্রীদের বিতরণ করা হয়। কিন্তু স্কুল আজকেও বন্ধ ছিলো। এই বন্ধ স্কুল খুলে প্রধান শিক্ষিকা মিডডে-মিলের চাল, আলু, ছোলা তার স্বামীকে দিয়ে চুরি করে নিয়ে যায়। তারপর আমরা জিজ্ঞাসা করলে তার স্বামী যা জিনিস বাড়ি নিয়ে যায় তার অল্প কিছু জিনিস ফেরত নিয়ে আসে। এর আগেও এই শিক্ষিকা এই রকম কাজ করেছে। তাই আমরা চাই এই স্কুলের শিক্ষিকার উপযুক্ত শাস্তি, যাতে এই ধরনের কাজ আর করতে না পারে। অবিলম্বে এই শিক্ষিকাকে অন্যত্র সরানো দাবি জানান বিক্ষোভ কারী বাসিন্দারা। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা যুথিকা রানী সরকার জানান, আমি মিডডে-মিলের জিনিস চুরি করি নি। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ইটাহার থানার পুলিশ। পুলিশ আসার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।