জলপাইগুড়ি : মালবাজার : ১৯শে অক্টোবর ২০২০ : সোমবার : স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ট্রেনিং নিয়ে চাকুরী পেল চাবাগানের মোট ৭ জন তরুণী। এর আগে ৫ জন তরুনী চাকুরী পেয়ে পুনে যোগ দিয়েছে। আর সোমবার দিন ডুয়ার্সের আরো ২ জন বিউটিসিয়ানের কাজে কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। বর্তমানে চাকুরির বাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। লকডাউনে অনেকের চাকুরী চলে গেছে। সম্প্রতি আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকুরী পেতে শুরু হয়েছে। এই রকম ভাবে ডুয়ার্সের বিভিন্ন চাবাগানের সুশান্তি উরাও, অনিমা উরাও, রিতা কুলু, সাম্পি উরাও এবং প্রিয়াঙ্কা বারলা নামের ৫ তরনী কিছুদিন আগেই প্রথম এডুকেশন ফাউন্ডেশন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ট্রেনিং নিয়ে পুনেতে চাকুরী পেয়েছে।
আর সোমবার দিন সালমা ওড়াও এবং মিনা চিকত কুমহার কোলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। এই তরুনীদের বক্তব্য, এত দিন আমরা পড়াশোনা করে বাড়িতেই বসেছিলাম, এরপর প্রথম এডুকেশন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঁচিতে গিয়ে ৩ মাসের নার্সিং ট্রেনিং করি। আমার পুনেতে প্লেসমেন্ট হয়েছে। আমরা মোট ৭ জন চাকুরী পেয়েছি। সংস্থার পক্ষে সৌমিত্র চ্যাটার্জি বলেন, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের আন্ডারে থেকে আমাদের সংস্থা কাজ করে। চাবাগান এলাকায় উৎসাহীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্লেসমেন্ট দেওয়া হয়। লকডাউনের জন্য এদের কাজ আটকে ছিল। আনলক শুরু হতেই প্লেসমেন্ট শুরু হয়েছে। এর আগে ৫জন নার্সিং ট্রেনিং করে প্লেসমেন্ট পেয়েছে। আর এবার আরো দুজন কোলকাতায় বিউটিসিয়ানের চাকুরী পেয়ে কোলকাতায় যাচ্ছে। এদের মধ্যে এক জন ডামডিম চাবাগানের মিনা চিকত কুমহার এবং আর এক জন মেটেলির ডাংগি ডিভিসনের কুর্তি লাইনের বাসিন্দা সালমা ওড়াও।