জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২৬শে অক্টোবর ২০২০ : সোমবার : ফুল ছিঁড়তে গিয়ে বাড়ি ফেরা হল না ৯ বছরের দুর্গার। বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসে বিসর্জন হয়ে গেল ময়নাগুড়ি বাগজান এলাকার ছোট ক্ষুদে চন্দনা বর্মনের। আর এই নিয়ে ময়নাগুড়ির বাগজান এলাকায় বিষাদের সুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে পুজোর উদ্দেশ্যে কয়েকজন শিশু মিলে পাশের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে ফুল তুলতে যায় চন্দনা। কিন্তু ফুলের গাছে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শ ছিল বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আর সেই তারের সংস্পর্শে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় চন্দনা বর্মন। কিন্তু চন্দনা বর্মন এর চিৎকারে কেউ ছুটে আসেনি বলে মৃতার পরিবারের অভিযোগ। পরে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ছুটে যান এবং চন্দনাকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক চন্দনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসীরা।
তাদের অভিযোগ, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য ইচ্ছা করেই ইলেকট্রিক তারে বিদ্যুতের সংস্পর্শ দিয়ে রেখেছেন। স্থানীয়রা অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করেন। এছাড়াও অভিযুক্তকে কোমরে দড়ি বেঁধে থানায় নিয়ে যাওয়ার দাবি করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী সেখানে পৌছায়। ময়নাগুড়ির থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, পঞ্চায়েত সদস্য অসীত চন্দ্র তার ফুল বাগানে ইলেকট্রিক তার দিয়ে বিদ্যুতের সংস্পর্শ করে রেখেছিলেন এবং তার অবৈধ পোল্ট্রি মুরগির ফার্মও ইলেকট্রিকের তার দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।
পঞ্চায়েত সদস্য ইচ্ছাকৃত ভাবেই ফুল গাছের সঙ্গে ইলেকট্রিক তার দিয়ে রেখেছিলেন, যার কারণে একটা শিশুর প্রাণ গেল। আর এক বাসিন্দার দাবি, কি কারনে তিনি ফুল গাছের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শ দিয়ে রেখেছিলেন তা আমরা জানতে চাই এবং এর ন্যায্য বিচার চাই। ফুল তুলতে মানা করলেই শিশুরা ফুল ছিঁড়ত না। ময়নাগুড়ি পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।