উত্তর দিনাজপুর : কালিয়াগঞ্জ : ৭ই নভেম্বর ২০২০ : শনিবার : কৃষকদের জমিতে দেওয়ার ভেজাল কীটনাশক তৈরির কারখানার হদিস মিলল এবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রুপাহারে। যেখানে আজ জেলা কৃষি দপ্তরের ডেপুটি ডাইরেক্টর ডক্টর বিপ্লব কুমার ঘোষ এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল সেই কারখানায় হানা দিলে সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করে প্রচুর ভেজাল কীটনাশক ও সার।
জেলা কৃষি দপ্তরে আধিকারিক জানিয়েছে এই কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে চলছিল বালির সঙ্গে রং মিশিয়ে ভেজাল কীটনাশক তৈরির কাজ। আর যেটা তারা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের মধ্যেই সরবরাহ করতেন। কৃষি দপ্তর থেকে সেই কারখানায় হানা দিতে গেলে প্রথমে কারখানার গেট খুলতে বাধা দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে সেই কারখানায় তারা যখন ঢুকে তখন তারা দেখে কারখানায় কলকাতার বহু নামিদামি কীটনাশক সার তৈরি কোম্পানির লেবেল নিয়ে এসে এখানে মিলের মালিক সেই ভেজাল কীটনাশক তৈরি করে প্যাকেটিং করত।
হাতেনাতে ধরলো সেই ভেজাল কীটনাশক সার তৈরির কারখানার উৎপাদিত বহু ভেজাল কীটনাশক। কৃষি আধিকারিকরা সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে কারখানাটি সিল করে দেন। কৃষি আধিকারিক জানান কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। এই কারখানার কোন বৈধ লাইসেন্স ছিল না। এই ধরনের ভেজাল কীটনাশক সার তৈরি করে বাজারের সাপ্লাই দিচ্ছে। সে ব্যাপার দেখে তারা আশ্চর্য হয়ে যান।
জানা যায় এখান থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকরা এই কীটনাশক সার নিয়ে যেতেন তাদের উৎপাদিত জমিতে কীটনাশক সার প্রয়োগ করার জন্য। এদিকে নকল ভেজাল কীটনাশক সার কারখানা হদিস মেলায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে কারখানার মালিক ভবেশ রায় জানান, অভাবের তাড়নায় তাকে এইভাবে কাজ করতে বাধ্য হতে হয়েছিল। তিনি সবে মাত্র এটা শুরু করেছিলেন ভেজাল সার তৈরি করার। আর কখনো তিনি এই কাজ করবেন না বলে জানান।