জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ১৯শে নভেম্বর ২০২০ : বৃহস্পতিবার : ছোট বেলায় বাবা মারা গিয়েছে। মা মানসিক সমস্যার কারনে নিরুদেশ। ছোট থেকেই দাদু দিদার কাছে মানুষ হয়েছে ময়নাগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎ কলোনির লাটিমের বাড়ি এলাকার বছর ১৭ এর সফিনা খাতুন। বেশ কয়েক মাস ধরে বুকের ব্যথার সমস্যায় ভুগছিল সপিনা। এরপর ময়নাগুড়ি গ্রামীন হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর তাকে বাইরে চিকিৎসা করানোর কথা বলা হয়। এই অবস্থায় তারা জানতে পারেন সফিনার হার্টে ফুটো (ভালব খারাপ) হয়ে গিয়েছে। এই রোগের চিকিৎসার জন্য কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
এই অবস্থায় সফিনার অপারেশনের জন্য টাকা জোগাড় করতে হিমশিম হতে হচ্ছে সফিনার দাদু ও দিদাকে। তাই সরকারি কিংবা বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে সপিনার চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন তার পরিবার। জানাগেছে, সপিনার বাবা ছোটো বেলায় মারা গিয়েছে। এরপর মায়ের মানসিক অবস্থা খারাপ থাকায় বাড়ি থেকে নিরুদেশ হয়ে যায়। আজও তার কোনো সন্ধান পায় নি তার পরিবার। এই অবস্থায় অসহায় ভাবে দাদু এবং দিদার কাছে থাকতে শুরু করেন। এই সমস্যার কারনে সফিনা চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর তা বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে দাদু এবং দিদার পক্ষেও সফিনার পড়াশোনার খরচ চালানো মুশকিল হয়ে পড়ে। সফিনার দাদু ভিক্ষা করে যা হতো তাই দিয়েই কোনো রকমে দিন পাত করতেন। বর্তমানে তার দাদুও বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। এই অবস্থায় কি করে সংসার চালাবে তা নিয়েই চিন্তিত পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে সফিনা বেশ কয়েক মাস ধরে বুকের ব্যাথায় ভুগছিলেন। এরপর তাকে ডাক্তার দেখানো হলে। প্রথমে জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, কলকাতা এবং পরে ব্যাঙ্গালুরুতে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে বলে। প্রথম অবস্থায় এলাকার মানুষের কাছে চাঁদা তুলে ব্যাঙ্গালুরুতে গেলে ডাক্তার অপারেশন এর কথা বলেন। আর সেই অপারেশন করতে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার দরকার। এই অবস্থায় সেই পরিমান অর্থ না থাকায় তারা পুনরায় বাড়ি ফিরে আসেন।
এদিকে এত পরিমান টাকা জোগাড় করা দাদু এবং দিদার পক্ষে অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কারনেই এই নাবালিকা মেয়েটিকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন সফিনার দিদা। সফিনা খাতুন বলেন, ডাক্তার আমাকে ব্যাঙ্গালুরুতে যেতে বলছে। চাঁদা তুলে ব্যাঙ্গালুরুতে গিয়েছি। আবার ঘুরে আসি। আবার যেতে বলেছে কিন্তু অনেক টাকার প্রয়োজন। স্থানীয় প্রতিবেশী মুক্তা বেগম বলেন, সবাই সাহায্য করলে এই মেয়েটিকে বাঁচানো যাবে। না হলে হয়তো চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে পারে। আমরা প্রতিবেশী হিসাবে যতটা পারি সহযোগিতা করছি। সফিনার দিদা বলেন, ওর দাদু ভিক্ষা করে কোনো রকমে দিন এনে দিন খাই। এই অবস্থায় কি করে সফিনার চিকিৎসা করাবো বুঝতে পারছি না। কোনো সরকারি সুযোগ সুবিধা বা কোনো বেসরকারি সংগঠন যদি আমাদের সাহায্য করেন তাহলে সফিনার চিকিৎসা করে বাঁচিয়ে তুলতে পারি।