জলপাইগুড়ি : ময়নাগুড়ি : ২১শে নভেম্বর ২০২০ : শনিবার : জাতীয় সড়কে দিন দিন বাড়ছে দুর্ঘটনা। আর যার জেরে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি ২৭ নং জাতীয় সড়কের পাশে অবৈধভাবে দোকান গজিয়ে ওঠার অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, ময়নাগুড়ি ধূপগুড়ি ২৭ নং জাতীয় সড়কে ডাবল লাইন নির্মাণের সময় রাস্তার পাশে থাকা দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরেও পুনরায় দোকানগুলি জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকায় তৈরি হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অভিযোগ, দিন দিন জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।
এর অন্যতম কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে রাস্তার পাশে গজিয়ে ওঠা অবৈধ দোকান গুলি। ময়নাগুড়ি ধূপগুড়ি ২৭ নং জাতীয় সড়কের টেকাটুলি সংলগ্ন এলাকায় বেশ কিছু অবৈধ দোকান নির্মিত হয়েছে। যেগুলি জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকায়। এই অবস্থায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা প্রণব রায় বলেন, যেভাবে টেকাটুলি থেকে বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় কিছু দিনের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটলো তাতে আমরা চিন্তিত। আবার যেভাবে রাস্তার পাশে একাধিক দোকান হওয়ার কারনে রাস্তায় চলাচল এর অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। ফলে এই বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিপাত দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জাতীয় সড়ক এর কাজের জন্য তাদের দোকান উচ্ছেদ করা হলেও তাদের পুনর্বাসনের কোনো জায়গা করে দেয়নি প্রশাসন।
ফলে এই অবস্থায় কেমন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করবেন তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন একাধিক রাস্তার পাশে বসা ব্যবসায়ীরা। এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের সরিয়ে দেওয়া হলেও পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এই অবস্থায় আমাদের রুজি রোজগার কিভাবে হবে। ফলে রিস্ক হলেও ব্যবসা করে খেতে হবে। প্রশাসন আমাদের অন্যত্র বসার ব্যবস্থা করলে দোকান সরিয়ে ফেলবো। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই বিষয়টি প্রশাসনের দেখা প্রয়োজন। দরকার পরলে দোকান গুলো একটু পিছিয়ে দিতে হবে। খাগড়াবাড়ি ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাবলু রায় বলেন, আমাদের সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেই যে তাদের অন্যত্র ব্যবস্থা করা হবে। যেভাবে আমাদের এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে এতে এই ঘটনার যে পুনরাবৃত্তি হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই বিষয়টি প্রশাসনের একটু দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন আছে।